এসইও কি? এটি কিভাবে কাজ করে এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ

 

এসইও কি?

(toc)

এসইও পূর্ণরূপ হল Search Engine Optimization যখন আমি আমার কন্টেনকে কোন সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করব তখন সেই অপটিমাইজেশন কে বলা হয় এসইও।


এসইও কি? কিভাবে এসইও শুরু করবেন
কিভাবে এসইও শুরু করবেন 

SEO করার উদ্দেশ্য হলো আমার অথবা আপনার ওয়েবসাইটটিকে Google First Result page যেন আনতে পারি,কারণ মানুষ যখন কোন কিছু নিয়ে গুগলে সার্চ করে তখন রেজাল্ট পেজের প্রথমে যারা থাকে তাদের  ওয়েবসাইটেই  মানুষ বেশি ক্লিক করে থাকে।


SEO কত প্রকার ও কী কী?


অনেকের মতে SEO  দুই প্রকার,  তিন প্রকার,  বা পাঁচ প্রকার হয়ে থাকে এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে আমার পার্সোনাল Opinion থেকে বলছি যেটা আমি মনে করি


SEO  চার প্রকার হয়ে থাকে। যেমন: 

  • On-Page SEO

  • Off-Page SEO

  • Technical SEO

  • Content 

অন পেজ এসইও কি কেন এটি প্রয়োজন?


On-Page SEO: এমন একটি প্রসেস যে প্রসেসের সাহায্যে আমি আমার কনটেন্টকে কোন সার্চ ইঞ্জিন কে এটা বোঝাতে পারছি যে আমার কনটেন্টটি কোন  টপিক বা কোন রিলেটেড বা আমার আর্টিকেলের intent কি

ইজিলি ভাবে বুঝতে পারে গুগলের  bot  বা  অন্যান্য সার্চ  ইঞ্জিনের বটফলে তাদের  সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP)  খুব সহজেই সে আর্টিকেলটা  Rank পায়


ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজ  বিষয়বস্তু এবং প্রযুক্তিগত দিক উন্নত করার কৌশলগুলির মধ্যে সঠিকভাবে কীওয়ার্ড ব্যবহার, মেটা ট্যাগ, হেডিং, URL স্ট্রাকচার, ইন্টার্নাল লিংকিং, এবং ছবি Alt- Text,  ছবির সাইজ কমানো এই গুলোই অপ্টিমাইজেশন করতে হয় অন পেজ এসইও মধ্যে । এগুলি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সঠিকভাবে বুঝে এবং ইন্ডেক্স করে, যা সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটের Ranking বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং ব্যবসায়িক সফলতা বাড়তে থাকে। সঠিক অন-পেজ SEO করার ফলে আপনার  আর্টিকেল বা  আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুগলের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে খুব সহজেই Show করে।



অফ-পেজ এসইও কি?


Off-page Optimization হলো ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে করা অপটিমাইজেশনের কাজ। ওয়েবসাইটের Ranking জগতে, টিকে থাকা বেশ কঠিন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, আর তাদের থেকে আপনার ওয়েবসাইটকে আলাদা করতে হলে আপনাকে Smartly কাজ করতে হবে। সেই কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো অফ-পেজ SEO।


Simple একটা এক্সাম্পল  দিচ্ছি মনে করেন আমার একটা ওয়েবসাইট আছে সে ওয়েবসাইটটির নাম হলো


www.ABC.com  ধরে নিলাম এটা আমার ওয়েবসাইট 

 www.abc.com  এই ওয়েবসাইটটার URL নিয়ে  আমি  www.facebook.com  অথবা আমি  www.Twitter.com  Share করে দিলাম। এখন দেখেন abc.com এটা হল আমার ওয়েবসাইট।  আর  ফেসবুক ও টুইটার দুইটা কিন্তু ডিফারেন্ট ওয়েবসাইট এটা কিন্তু আমার ওয়েবসাইট না। বাট আমি কি করছি আমার ওয়েবসাইটের url নিয়ে দুইটা Different ওয়েবসাইটে শেয়ার করে দিছি তখন ওই Different দুইটা ওয়েবসাইটের আমার ওয়েবসাইটের Link থাকার জন্য আমার ওয়েবসাইট টা ব্যাক লিংক  পাইছে।  ব্যাকলিংক মানে হলো পেছনের লিংক দেওয়া অর্থাৎ আমার ওয়েবসাইটের পেছনে এই লিংক দিচ্ছে। 

 সহজ কথা  অফ পেজ SEO  হলো আমার ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য একটা  ওয়েবসাইটের লিংক নিয়ে আসাই হলো  ব্যাক লিংক।

 

টেকনিক্যাল এসইও কি what is Technical SEO?


একটা নতুন অথবা পুরাতন কোনো ওয়েবসাইটকে Google সাবমিট করা থেকে শুরু করে Google নিজস্ব ডাটাবেজ নেওয়ার আগ পর্যন্ত যে প্রসেস রয়েছে তাকে  টেকনিক্যাল SEO বলে।


টেকনিক্যাল  এসইও এই জিনিসটা আসলে কি একটা ছোট্ট Example দিয়ে বোঝানো ট্রাই করছি।


ধরেন আমার অথবা আপনার একটা নতুন ওয়েবসাইট আছে যে ওয়েবসাইটটির নাম হলো www.seoprobd.com ধরে নিলাম এটা আমার  বা আপনার ওয়েবসাইট এখন এই  নতুন ওয়েবসাইটটি গুগল যানেই না যে  SEOProBD.com নামে একটা ওয়েবসাইট আছে।


এখন আমার যে দায়িত্ব একজন ওয়েবসাইট অনার হিসেবে অথবা একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অথবা একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবে অথবা একজন এসইও  এক্সপার্ট হিসেবে।

আমার দায়িত্ব হলো গুগলকে জানানো যে SEOProbd.com এই ওয়েবসাইটটি তুমি তোমার ডাটাবেজে  Index করবা।


টেকনিক্যাল এসইও তিনটা ধাপ শেষ করে একটা ওয়েবসাইট Ranking চলে আসে

সে ধাপগুলো  কি কি?


Crawling Indexing Ranking 



কিওয়ার্ড কি? কত প্রকার?


এসইও শুরুটা করতে হবে কিওয়ার্ড রিসার্চ  দিয়ে কারণ আমাকে যদি গুগলের সাথে  কাজ করতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে কিওয়ার্ড কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে। কারণ আমার টার্গেটেড অডিয়েন্সের জন্য যদি আমি ভুল কিওয়ার্ড  সিলেক্ট করি তাহলে সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে আমার এসইও জার্নি টা সঠিকভাবে আগাবে না তাই অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।


কিওয়ার্ড কি?


মানুষ যখন  গুগলে কোন কিছু সার্চ করে এবং সেটা হতে পারে যেকোন ওয়ার্ড তখন সেই সার্চ ওয়ার্ড বা অনুসন্ধানকে  SEO ভাষায় কিওয়ার্ড বলে। 


কিওয়ার্ড তিন প্রকার:


শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড: (Short-Tail Keyword) Short-tail  কিওয়ার্ড হলো ছোট ও সাধারণ সার্চ টার্ম, সাধারণত ১ বা ২টি শব্দ নিয়ে গঠিত। এই কিওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম বেশি, কিন্তু এর কম্পিটিশন অনেক বেশি হয়ে থাকে যার ফলে ‍ নতুন একটি ওয়েবসাইটে Ranking পসিবল হয় না। এগুলো সাধারণ ছোট একটি শব্দকে বা intent কে ফোকাস করে।


লং-টেইল(Long-Tail Keyword) কিওয়ার্ড 


Long-tail keyword মানে হলো লম্বা ও নির্দিষ্ট কিছু কিওয়ার্ড  যা মানুষ সার্চ করে। এগুলো সাধারণত ৩-৪ বা তার বেশি শব্দের হয়ে থাকে।এই ধরনের কিওয়ার্ড সাধারণত কম সার্চ ভলিউম থাকে, কিন্তু তাদের কনভার্সন রেট বেশি হয় কারণ তারা নির্দিষ্ট দর্শকদের লক্ষ্য করে। 



স্থানীয় কিওয়ার্ড (Local Keyword)


স্থানীয় (Local Keyword) কিওয়ার্ড মানে এমন কিছু  কিওয়ার্ড যা নির্দিষ্ট একটি এলাকার মানুষ সার্চ করে। যেমন, "ঢাকায় ভালো রেস্টুরেন্ট" বা "চট্টগ্রামে সেরা জুয়েলারি দোকান।" এই ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে ব্যবসায়ীরা তাদের নির্দিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের সহজে টার্গেট করতে পারে এবং বেশি ফল পেতে পারে।



SEO জানার আগে  এই তিনটি  বিষয়  অবশ্যই জানতে হবে?


  • হোয়াইট হ্যাট SEO
  • ব্ল্যাক হ্যাট  SEO
  • গ্রে হ্যাট SEO

হোয়াইট হ্যাট SEO:

White hat SEO মানে হলো সেইসব পদ্ধতি যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম মেনে করা হয়। এই ট্রিক্স ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিনে Rank করবে। সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম মেনে ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করলে, আপনার ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর আসবে।



ব্ল্যাক হ্যাট  SEO:

Black hat SEO হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম ভাঙা হয়। অনেকেই দ্রুত Rank করার জন্য রোবটের মাধ্যমে একাধিক  ব্যাক  লিংক তৈরি করে। তারা বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই লিংক গুলো সহজেই খুব কম সময়ে করে ফেলে। যার ফলে কি হয় তার টার্গেটেড আর্টিকেলটি খুব দ্রুত গুগলে Rank পায় এই কারণে মানুষ ব্ল্যাক হ্যাট SEO ব্যবহার করে।


কিন্তু, যদি সার্চ ইঞ্জিন এই লিংক গুলো খুঁজে পায়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বাতিল হয়ে যাবে। সার্চ ইঞ্জিনের টেকনোলজি এখন অনেক উন্নত, এবং এটি সহজেই এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো চিহ্নিত করে ফেলতে পারে। একবার যদি ওয়েবসাইট বাতিল হয়, তাহলে তা আবার Rank করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে অনেক সময় সম্ভবও হয় না।


গ্রে হ্যাট SEO:

গ্রে-হ্যাট এসইও হলো Search Engine নিয়ম না মেনে Rank বাড়ানোর একটি পদ্ধতি।গ্রে হ্যাট এসইও আসলে যারা করে থাকে তারা গুগলের  অর্ধেক নিয়ম মানে এবং অর্ধেক  গুগলের অনিয়ম মেনে তারা কাজ করে। গুগলের এলগোরিদম পরিবর্তনে হয়  ফলে যে কোন সাইট যেকোনো সময় পেনাল্টি হয়ে ব্লক হতে পারে। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন, প্রাইভেট ব্লগ নেটওয়ার্কিং এরকম কৌশল ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞ ছাড়া এড়িয়ে চলাই ভাল।



ডিজিটাল মার্কেটিং এ SEO গুরুত্ব কেন?


ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে SEO গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে কোন ধরনের টাকা পয়সা ছাড়া অর্গানিক ওয়েতে Rank দিয়ে থাকে। এতে বেশি মানুষ আপনার সাইট দেখে এবং অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ে। SEO আপনার সাইটের কনটেন্ট এবং স্ট্রাকচার উন্নত করে, যা ব্যবসার বৃদ্ধি এনে দেয়।


বাংলাদেশে SEO শুরুটা কিভাবে হয়েছিল?


বাংলাদেশে SEO শুরু হয়েছিল ২০০০ সালের আশেপাশে, যখন ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়তে শুরু করে। তখন ব্যবসায়ীগুলো এবং যারা বিভিন্ন বিষয় লিখতো তাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়াতে SEO পদ্ধতি ব্যবহার করতে লাগল। প্রথমে, এটি মূলত কনটেন্ট এবং কিওয়ার্ড উন্নতির মাধ্যমে হতো। এখন SEO আরও উন্নত হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।


বাংলাদেশে SEO শুরুটা কিভাবে হয়েছিল?



বাংলাদেশে SEO এর ভবিষ্যৎ কি?


বাংলাদেশে SEO এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই SEO এর গুরুত্ব বাড়ছে। দেখুন  ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ছিল।


  • মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: ১৩ কোটি ৪৮ লাখ

  • মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: ১২ কোটি ১২ লাখ

  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: ১ কোটি ৩৪ লাখ



বাংলাদেশে ই-কমার্স  ওয়েবসাইট,   যে কোন সার্ভিস ওয়েবসাইট,  অথবা যেকোনো কোম্পানি তাদের বিজনেস কে গ্রো করার জন্য ওয়েবসাইট বানাতে হয় এবং  সেই ক্ষেত্রে  একজন এসইও এক্সপার্ট এই ওয়েবসাইট গুলো মেইনটেইন করার জন্য এবং তাদের ব্যবসা গুলো অর্গানিক  এবং অথেন্টিক ওয়েতে নেওয়ার জন্য সে কাজ করে থাকে। এখন দিন যত যাচ্ছে  ওয়েবসাইটের অনাররা এসইও স্পেশালিস্ট খুঁজছে তাই আমি মনে করি বাংলাদেশে SEO   ভবিষ্যৎ খুবই ভালো।



SEO শিখে আরিয়ান তার পরিবারকে আর্থিকভাবে কিভাবে সাপোর্ট করছে?


SEO শিখে আরিয়ান তার পরিবারকে আর্থিকভাবে কিভাবে সাপোর্ট করছে?


বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ও যে অনলাইনে ইনকাম করা যায়, সেটা এখনো কেউ বিশ্বাস করে না।তারা মনে করে অনলাইন কাজ বলতেই সময় নষ্ট, এখান থেকে কেউ কিছু করতে পারবেনা। সেই মানুষগুলোকে উদ্দেশ্য করে এই গল্পটি লেখা হয়েছে।


আরিয়ান ছিল একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বড় কিছু করার, কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা তাকে সবসময় সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল। বাবা-মা সবসময় বলতেন, "পড়াশোনা কর, তাহলে একদিন বড় চাকরি পাবে।" কিন্তু আরিয়ান জানতো, শুধু চাকরির জন্য পড়াশোনা নয়, তাকে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কিছু আলাদা করতে হবে।


আরিয়ানের একটাই কথা সমাজের মানুষ যেটাতে মানা করবে আমি সেই কাজটি পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করব। যেটা কেউ চিন্তাও করেনি সেই কাজটি আমি করে দেখাবো। 


একদিন ইন্টারনেটে ঘুরতে ঘুরতে সে এসইও (SEO) সম্পর্কে জানতে পারে। তার মনে হলো, এই কাজটি করে সে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। কিন্তু তার পরিবার, বন্ধুরা—কেউই বুঝতে পারেনি, কেন আরিয়ান এই নতুন বিষয়টি নিয়ে এত আগ্রহী। সবাই তাকে বলেছিল, "এসব করে কি হবে? তুমি পড়াশোনার দিকে মন দাও।

 

কিন্তু আরিয়ান জেদ ধরে বসে। সে ঠিক করেছিল, যেভাবেই হোক, এসইও শিখবেই। পড়াশোনার পাশাপাশি রাতে বসে বসে সে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতো, ফ্রি কোর্স করতো, আর নিজের একটি ছোট্ট ব্লগ বানিয়ে কাজ শিখতো। 


এই কঠোর পরিশ্রমের ফলে দীর্ঘ আট মাসের মাথায় সে বিভিন্ন ছোটখাটো কাজ পেতে শুরু করল। প্রথমে আয় ছিল খুবই কম, কিন্তু সে থেমে থাকেনি। ধীরে ধীরে তার Skill বাড়তে লাগল, কাজের পরিমাণও বাড়তে লাগল। সে তার প্রথম বড় আয় দিয়ে মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনল, যা দেখে তার মা চোখের জল আটকে রাখতে পারেনি।


আরিয়ানের এই জেদ, কঠোর পরিশ্রম, আর আত্মবিশ্বাস তাকে ধীরে ধীরে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। আজ সে শুধুমাত্র পরিবারের খরচ চালায় না, বরং বাবা-মাকে বলেছে, "তোমাদের আর কষ্ট করতে হবে না, এবার আমি সব সামলে নেব।


আরিয়ানের গল্প আমাদের শেখায়, ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে, যে কেউ তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।




SEO কে কাজে লাগিয়ে কি ক্যারিয়ার দাঁড় করানো সম্ভব?


অবশ্যই, SEO কে কাজে লাগিয়ে  নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করানো পসিবল। SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে Rank করতে সাহায্য করে। SEO শেখার পর আপনি SEO এক্সপার্ট অথবা ম্যানেজার, বা সিনিয়র এসইও স্পেশালিস্ট হতে পারেন। অনেক ব্যবসায়ী তাদের অনলাইন Rank বাড়ানোর জন্য SEO এক্সপার্ট খুঁজে। SEO সবসময় নতুন নতুন কিছু শিখতে হয়, যা আপনার ক্যারিয়ারকে শক্তিশালী করবে।



SEO শেখার জন্য শুরুটা কিভাবে  করবেন?


একজন বিগেনার জন্য এসইও শুরুটা হবে এইরকম 


জানুন: কিওয়ার্ড রিসার্চ, টার্গেটেড নিস, এসইও আর্টিকেল, অন-পেজ, অফ-পেজ, টেকনিক্যাল এসইও  এবং ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে হবে। 


ফ্রি রিসোর্স ব্যবহার করুন: ইউটিউব, ব্লগ,গুগল,।

প্র্যাকটিস করুন: নিজের ওয়েবসাইটে চেষ্টা করুন।


আপডেট থাকুন: এসইও এই ইন্ডাস্ট্রিতে দিনে দিনে আপডেট হচ্ছে তাই আপনাকে আপডেট হতে হবে যদি নিজেকে আপডেট না করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য এই ফিল্ড না।


সহজ কথায়: শিখুন, প্র্যাকটিস করুন, আপডেট থাকুন।




SEO কাজটি শিখতে হলে  আমাদের মধ্যে কি কি এবিলিটি থাকতে হবে?


SEO শিখতে হলে ইন্টারনেট, কম্পিউটার জানতে হবে। ভালো লেখা, কোন কিছু গুগলে অথবা যে কোন  প্ল্যাটফর্মে সার্চ করার মত এবিলিটি থাকতে হবে, সৃজনশীলতা ও ধৈর্য দরকার। ইংরেজি ও মার্কেটিং জানলে সুবিধা হয়। বেসিক প্রোগ্রামিং জানলে আরও ভালো। মূলত, আগ্রহ ও শেখার ইচ্ছা থাকলেই হবে।


SEO এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়?



SEO এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়


SEO শিখলে আপনি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরে দিকে  তুলতে পারবেন। এর মানে হল, সহজ কথা আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসবে। 


কীভাবে টাকা আয় করবে?

  • ফ্রিল্যান্সিং: প্রথমত অন্যদের ওয়েবসাইট সাজিয়ে দিয়ে টাকা নিতে পারেন।

  • নিজের ওয়েবসাইট: আপনার নিজের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে বা পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।

  • কনসালট্যান্ট: কোম্পানিগুলোকে SEO সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে টাকা  নিতে পারেন।

  • শিক্ষক: অন্যদের SEO শিখিয়ে টাকা আয় করতে পারেন সেটা হতে পারে অনলাইনে অথবা অফলাইনে।

  • এজেন্সি: নিজেই একটা দল বানিয়ে অনেক কোম্পানির জন্য কাজ করতে পারেন।

কেন SEO শিখবে?

  • অনেক চাহিদা: অনেক কোম্পানি SEO এক্সপার্ট খুঁজে।

  • ঘরে বসে কাজ: আপনাকে অফিসে যেতে হবে না।

  • ভালো আয়: আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবে।





SEO সেক্টরে একবার আসলে সফল না হওয়া পর্যন্ত হার মানা যাবে না 


SEO সেক্টরে একবার আসলে সফল না হওয়া পর্যন্ত হার মানা যাবে না


SEO তে সফল হতে সময় লাগে। এটা কঠিন, কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই। প্রতিটি ভুল থেকে শিখতে হবে, আর ছোট ছোট জয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত চেষ্টা করেন, ঠিকভাবে কাজ করেন, আর নিজেকে বিশ্বাস করেন। SEO তে সফল হতে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। যারা হাল ছাড়ে না, তারা একদিন ঠিকই সফল হয়।



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.